প্রশ্ন
যে কোনভাবে একটি মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তখন দ্বীনের বুঝ ছিল না। কিন্তু এখন বুঝতে পারি, সেটা ঠিক হয়নি। তাই তার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই। কিন্তু পারছি না। আর মেয়েটিও কোনভাবে রাজি হচ্ছে না। তাই জানতে চাচ্ছি, কোন অশ্লীল কাজে না জড়িয়ে তার সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
উপরোক্ত চিন্তা সম্পূর্ণ শয়তানের ধোঁকা। ইসলাম অনুযায়ী আপনি মেয়েটির সাথে কিছুতেই বিবাহপূর্ব সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। পরনারীর সাথে তো আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলাই যেখানে শরিয়ত হারাম করে দিয়েছে, সেখানে সম্পর্ক স্থাপনের তো প্রশ্নই আসে না৷ ইরশাদ হচ্ছে-
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ ۚ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا
হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। [সূরা আহযাব, আয়াত: ৩২]
হাদিস শরিফে এসেছে-
لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّ كَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ
কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে মিলিত হলে নিঃসন্দেহে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান। (অর্থাৎ, তখন শয়তান তাদের মনে কুমন্ত্রণা দেয়।) [ সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ১১৭১]
তাই দ্রুত তাওবা-ইস্তেগফার করে আপনি তার সাথে সম্পূর্ণরূপে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করুন। আর যদি সেটা করতে না-ই পারেন তাহলে সামর্থ্য থাকলে বিবাহ করে ফেলুন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم