প্রশ্ন
রমজানে ফজরের আযান ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে দেওয়া হয়। কিন্তু অন্যান্য সময় একটু দেরিতে দেওয়া হয়। এ পার্থক্য কেন?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথেই আযান দিয়ে নামায পড়া যায়। আর সাধারণ অবস্থায় ফজরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া মুস্তাহাব। হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ أَسْفِرُوا بِالْفَجْرِ فَإِنَّهُ أَعْظَمُ لِلأَجْرِ.
‘রাফি ইবনে খাদীজ (রা.) বর্ণনা করেন যে, আমি রাসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছি- তোমরা ইসফার অর্থাৎ চতুর্দিক ফর্সা হয়ে এলে ফজর আদায় করবে। কেননা এতে রয়েছে বিরাট সওয়াব। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৬৭২, তিরমিযি হাদিস: ১৫৪]
কিন্তু জামাতের একটা মৌলিক উদ্দেশ্য হল লোকসমাগম হওয়া। রমজানে যেহেতু ফজরের আযানের পরপরই লোক সমাগম বেশি হয় তাই রমজানে ফজর নামাজ তাড়াতাড়ি পড়া মুস্তাহাব। এ জন্য রমজানে তাড়াতাড়ি আযান দেওয়া হয়।
মাবসূত ১/১৪৬, ফয়জুল বারী: ২/১৩৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم