প্রশ্ন
মুয়াজ্জিন আজান দেওয়ার পর অন্য লোক ইকামত দিতে পারবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ম হল, যিনি আজান দিয়েছেন, তিনিই ইকামত দিবেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحَارِثِ الصُّدَائِيِّ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَأَمَرَنِي فَأَذَّنْتُ، فَأَرَادَ بِلَالٌ أَنْ يُقِيمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَخَا صُدَاءٍ أَذَّنَ، وَمَنْ أَذَّنَ فَهُوَ يُقِيمُ» فَأَقَمْتُ
‘যিয়াদ ইবনে হারেস আস সুদায়ী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা.)-এর সাথে এক সফরে ছিলাম। তিনি আমাকে আজান দিতে নির্দেশ করলেন। অতঃপর বেলাল (রা.) ইকামত দেওয়ার ইচ্ছা করলেন। তখন রাসূল (সা.) বললেন, আমাদের ভাই সুদা আজান দিয়েছে। আর যে ব্যক্তি আজান দিবে, সেই ইকামত দিবে। এরপর আমি ইকামত দিলাম।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ২২৪৬]
তবে অন্য কেউ ইকামত দিলে যদি মুয়াজ্জিন কষ্ট না পায়, কিংবা মুয়াজ্জিনের অনুমতিক্রমেই সে দিয়ে থাকে তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। কেননা হাদিস শরিফে এসেছে,
كَانَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ يُؤَذِّنُ، وَيُقِيمُ بِلَالٌ، وَرُبَّمَا أَذَّنَ بِلَالٌ، وَأَقَامَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ
‘আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) আজান দিতেন, আর বেলাল (রা.) ইকামত দিতেন। আবার কখনো বেলাল (রা.) আজান দিতেন, আর আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.) ইকামত দিতেন।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ২২৪৩]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم