প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নামাজ পড়ার কথা বললে সে বলে, নামাজ পড়ে কি হবে? জানতে চাচ্ছি, উক্ত কথার দ্বারা কি স্ত্রীর ঈমান চলে যাবে? এতে তাদের বিবাহে কোনো সমস্যা হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নামাজ ইসলামের মৌলিক ভিত্তিসমূহের একটি। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ: شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، وَأَنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ اللهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَحَجِّ البَيْتِ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ». متفقٌ عَلَيهِ
‘আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের উপর প্রতিষ্ঠিত। (১) এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসূল। (২) নামাজ প্রতিষ্ঠা করা। (৩) যাকাত প্রদান করা। (৪) কা‘বা গৃহের হজ করা। (৫) রমযান মাসে রোযা পালন করা।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৬]
উক্ত ব্যক্তির স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে, সে এই কথা কেন বলেছে? যদি সে এই কথা নামাজের ফরজিয়্যাতকে অস্বীকার করে বলে থাকে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে এবং বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। পুনরায় তাকে ঈমান ও বিবাহ নবায়ন করে নিতে হবে।
আর যদি নামাজের ফরজিয়্যাতকে অস্বীকার না করে এমনিতেই বলে থাকে, তাহলে তার ঈমান নষ্ট না হলেও এভাবে বলা যে মারাত্মক গুনাহের কাজ হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কাজেই উক্ত নারীকে এর জন্য খাঁটি মনে তওবা করে নিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم