প্রশ্ন
একটি বইয়ে পেলাম, জলপথে যারা জিহাদ করতে যায়, তারা শহিদ হলে তাদের ঋণসহ যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। জানতে চাচ্ছি, এর কোনো রেফারেন্স আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, ঋণ ছাড়া শহিদের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
يُغْفَرُ لِلشَّهِيدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلاَّ الدَّيْنَ
‘ঋণ ব্যতীত শহিদের সকল গুনাহই ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৮৮৬]
তবে একটি যয়ীফ হাদিসে পাওয়া যায় যে, জলপথের শহিদদের ঋণও মাফ হয়ে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘একজন শহিদ নৌযোদ্ধার মর্যাদা দু’জন শহিদ স্থলযোদ্ধার সমান। আর নৌ-পথে যার মাথাঘুরানি হয়, তার মর্যাদা স্থলযুদ্ধে শহিদের মর্যাদার সমান। আর দু’টি ঢেউয়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব অতিক্রমকারীর মর্যাদা আল্লাহর আনুগত্যে সারা দুনিয়া সফরকারীর সমান। আল্লাহ তাআলা মৃত্যুদূতকে নৌযোদ্ধা ব্যতীত সকলের রূহ হরণ করার দায়িত্ব দিয়েছেন। স্বয়ং আল্লাহ নৌযোদ্ধার রূহ নিয়ে নেন। তিনি যুদ্ধে শহিদের সকল গুনাহ মাফ করেন তার ঋণ ব্যতীত, কিন্তু নৌ-যুদ্ধে শহিদের সকল গুনাহ এবং ঋণও মাফ করেন।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৭৭৮]
যেহেতু ঋণ মাফের বিষয়টি একটি যয়ীফ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, তাই সুনিশ্চিতভাবে এ কথা বলা যাবে না যে, জলপথের শহিদদের ঋণও মাফ হয়ে যাবে। বরং বিষয়টিকে পুরোই আল্লাহর হাতে ন্যস্ত করে দিতে হবে। তিনি চাইলে ঋণও মাফ করে দিতে পারেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم