প্রশ্ন
শুনেছি, জুমআর দিন মসজিদে আগে আগে গেলে ফজিলত লাভ হয়। জানতে চাচ্ছি, কেউ যদি খুতবার সময় মসজিদে যায়, তাহলে সে কি মসজিদে আগমনের কোনো ফজিলত পাবে না?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
না, খুতবার সময় খুতবা শুরু হয়ে গেলে সে সময় আগত ব্যক্তি মসজিদে আগমনের কোনো ফজিলত লাভ করবে না। কারণ, ফজিলত লিবিপদ্ধকারী ফেরেশতাগণ তখন খাতা বন্ধ করে খুতবা শোনার জন্য বসে যান। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘যে ব্যক্তি জুমআর দিন ফরজ গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং নামাজের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুতবা দেয়ার জন্য বের হন তখন ফেরেশতারা যিকর শ্রবণের জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮৮১]
আরেক হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
‘জুমুআর দিন এলে মসজিদে যতগুলো দরজা আছে তার প্রতিটিতে ফেরেশতারা নিযুক্ত হন এবং তারা আগমনকারীদের নাম ক্রমানুসারে নথি বন্ধ করেন। ইমাম যখন (মিম্বারে) বসেন তখন তারা নথিপত্র গুটিয়ে নিয়ে আলোচনা শোনায় চলে আসেন।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৫০]
কাজেই জুমআর দিন আগে আগে মসজিদে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যেন হাদিসে বর্ণিত ফজিলত অর্জন করা সম্ভব হয়।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم