প্রশ্ন
এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলাম, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করা ঠিক নয়। কারণ এ সম্পর্কিত হাদিসটি জাল। জানতে চাচ্ছি, তার কথা কতটুকু সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করার ফজিলত সম্পর্কে একটি যয়ীফ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ: أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، وَثَلَاثَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْحَشْرِ، وَكَّلَ اللَّهُ بِهِ سَبْعِينَ أَلْفَ مَلَكٍ يُصَلُّونَ عَلَيْهِ حَتَّى يُمْسِيَ، وَإِنْ قَالَهَا مَسَاءً فَمِثْلُ ذَلِكَ حَتَّى يُصْبِحَ
‘যে ব্যক্তি সকালে পাঠ করবে, ‘আউযুবিল্লাহিস সামিইল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ এবং সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, আল্লাহ তাআলা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন, যারা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত রহমতের দোয়া করতে থাকবে। আর যদি সন্ধ্যায় পাঠ করে তাহলে অনুরূপভাবে সকাল পর্যন্ত (রহমতের দোয়া করতে থাকবে)।’ [মুসনাদুদ দারিমি, হাদিস: ৩৪৬৮]
উলামায়ে কেরামের মতে ফজিলতের ক্ষেত্রে যয়ীফ হাদিস আমলযোগ্য বিধায় সকাল সন্ধ্যা এর উপর আমল করা যেতে পারে।
আল আযকার, পৃ. ৭-৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم