প্রশ্ন
অনেক সময় ঘুমের মাঝে মানুষকে বোবায় ধরে। জানতে চাচ্ছি, এ পরিত্রাণের উপায় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
বোবায় ধরা বাস্তব সত্য একটি বিষয়। এর অস্তিত্ব আছে। ইংরেজিতে একে ‘স্লিপ প্যারালাইসিস’ বলে। এটা দুই কারণে হতে পারে। যথা: ১. শরীরিক কোনো সমস্যার কারণে। ২. জিনের আসরের কারণে।
প্রথমটি বিভিন্ন প্রকার ওষুধের মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের শরণাপন্ন হতে হবে।
আর দ্বিতীয়টি যেহেতু জিনের প্রভাবের কারণে হয়ে থাকে তাই এ সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য ঘুমানোর আগে অজু অবস্থায় কুরআন হাদিসে বর্ণিত শরীর বন্ধের বিভিন্ন দোয়া পাঠ করে ঘুমানো যেতে পারে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে রাসূল (সা.) শরীর বন্ধ করার জন্য সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে সম্পূর্ণ শরীরে ফুঁ দিয়ে শরীর বন্ধ করতেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيْهِمَا فَقَرَأَ فِيْهِمَا(قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ)وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ) وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ) ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
‘প্রতি রাতে রাসূল (সা.) বিছানায় যাওয়ার প্রাক্কালে সূরা ইখ্লাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০১৭]
সুতরাং শরীর বন্ধ করতে এই তিন সূরা পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে সম্পূর্ণ শরীর মুছে শরীর বন্ধ করতে হবে। এই সূরাগুলোর সাথে সূরা কাফিরূনও পড়া যেতে পারে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم