প্রশ্ন
কিছুদিন আগে একটি ভিডিওতে দেখলাম, একজন হুজুর একটি ছবির মহরত অনুষ্ঠানে ছবির সফলতার জন্য দোয়া করছেন। জানতে চাচ্ছি, এ কাজটি কতটুকু শরিয়ত সম্মত?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হারাম কাজের উদ্বোধন দোয়ার মাধ্যমে শুরু করা আল্লাহর সাথে চরম পর্যায়ের নাফরমানি ও বেয়াদবি করার শামিল। এতে দোয়া তো কবুল হবেই না বরং আখেরাতে তাকে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হতে হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُو بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيهَا إِثْمٌ وَلَا قَطِيعَةُ رَحِمٍ إِلَّا أَعْطَاهُ اللَّهُ بِهَا إِحْدَى ثَلَاثٍ إِمَّا أَنْ تُعَجَّلَ لَهُ دَعْوَتُهُ وَإِمَّا أَنْ يَدَّخِرَهَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ وَإِمَّا أَنْ يَصْرِفَ عَنْهُ مِنْ السُّوءِ مِثْلَهَا قَالُوا: إِذًا نُكْثِرُ قَالَ: اللَّهُ أَكْثَر
‘আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুসলমান যখন অন্য কোনো মুসলমানের জন্য দোয়া করে, যার মধ্যে কোনোরূপ গুনাহ বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার কথা থাকে না, আল্লাহ তাআলা উক্ত দোয়ার বিনিময়ে তাকে তিনটির যেকোনো একটি দান করে থাকেন।
১. তার দোয়া দ্রুত কবুল করেন
২. তার প্রতিদান আখেরাতে প্রদান করার জন্য রেখে দেন অথবা
৩. তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূর করে দেন।
একথা শুনে সাহাবিগণ (রা.) উৎসাহিত হয়ে বললেন, ‘তাহলে আমরা বেশি বেশি দোয়া করবো। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ তার চাইতে আরও বেশি দোয়া কবুলকারী।’ [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১১১৩৩]
উক্ত হুজুর যদি আসলেই এ কাজটি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই তিনি শরিয়ত বিরোধী কাজ করেছেন এবং চরম পর্যায়ের ধৃষ্টতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা তার হেদায়েতের দোয়া করি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم