প্রশ্ন
কোনো নারী শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য কোনো গাইরে মাহরাম পুরুষের প্রতি মহব্বত রাখতে পারবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জ্বি, পারবে। হাদিস দ্বারা বিষয়টি প্রমাণিত। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ بِهِنَّ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ مَنْ كَانَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ بَعْدَ أَنْ أَنْقَذَهُ اللَّهُ مِنْهُ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ
‘তিনটি বৈশিষ্ট্য যার মধ্যে রয়েছে, সে ঈমানের প্রকৃত স্বাদ অনুভব করবে। (১) অন্য সবার তুলনায় যার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক প্রিয়। (২) যে কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তার বান্দাকে ভালোবাসে। (৩) এবং যাকে আল্লাহ কুফর থেকে মুক্তি দিয়েছেন, তারপর সে কুফরের দিকে ফিরে যাওয়াকে এমন অপছন্দ করে যেমন আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে অপছন্দ করে।’ [সহিহ মুসলি, হাদিস: ৪৩]
অপর আরেক হাদিসে এসেছে,
‘আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (আনসারের) কতিপয় বালক-বালিকা ও নারীকে রাবী (বর্ণনাকারী) বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছিলেন, কোনো বিবাহ অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসতে দেখে রাসূল (সা.) তাঁদের উদ্দেশে দাঁড়িয়ে গেলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ জানেন, তোমরাই আমার সবচেয়ে প্রিয়জন। কথাটি তিনি তিনবার বললেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৭৮৫]
তবে ফেতনার আশংকা যদি থাকে তাহলে তার জন্য এমনটি করা বৈধ হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم