প্রশ্ন
হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীর কোন অঙ্গ স্পর্শ করা যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُواْ النِّسَاء فِي الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىَ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
‘আর তারা তোমাকে হায়েজ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তা কষ্ট। সুতরাং তোমরা হায়েজকালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আস, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে।’ [সূরা বাকারা, আয়াত: ২২২]
ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীর নাভির নিচ থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত ছাড়া অন্য যে কোনো অঙ্গ স্পর্শ করা যাবে। আর কাপড়ের উপর দিয়ে নাভির নিচ থেকে হাটুর নিচ পর্যন্তও স্পর্শ করা যাবে। তবে কাপড় ছাড়া স্পর্শ করা যাবে না। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ بَعْضِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَرَادَ مِنَ الْحَائِضِ شَيْئًا أَلْقَى عَلَى فَرْجِهَا ثَوْبًا
‘রাসূল (সা.)-এর কোন এক স্ত্রীর সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) তাঁর ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে কিছু করতে চাইলে স্ত্রীর লজ্জাস্থানের উপর কাপড় রেখে তারপর করতেন।’[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৭২]
রদ্দুল মুহতার ১/৪৮৬
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم