প্রশ্ন
আপনাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জেনেছি, ঘুমের আগে সূরা মুলক পাঠের অনেক ফজিলত আছে। জানতে চাচ্ছি, আমি যদি ঘুমের আগেই সূরা মুলক নফল নামাজে পাঠ করি তাহলে উক্ত ফজিলত লাভ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ঘুমের আগে সূরা মুলক পাঠের অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عن عبد الله بن مَسْعُود قَالَ من قَرَأَ {تبَارك الَّذِي بِيَدِهِ الْملك} كل لَيْلَة مَنعه الله بهَا من عَذَاب الْقَبْر
‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাবারাকাল্লায়ী বিয়াদিহিল মুলক পড়বে, আল্লাহ তাআলা তাকে এই সূরার মাধ্যমে কবরের আযাব থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন।’ [সুনানে কুবরা, নাসাঈ, হাদিস: ১০৪৭৯]
অপর আরেকটি হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم قال إن سورة من القرآن ثلاثون آية شفعت لرجل حتى غفر له وهي سورة تبارك الذي بيده الملك
‘কুরআনের একটি সূরা রয়েছে, যা ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট। তা কেয়ামতের দিন পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে। এবং এর কারণে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর তা হলো সূরা মুলক।’ [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ২৮৯১]
তবে উক্ত দুই হাদিসের কোনোটিতে নামাজের বাহিরে পাঠ করার কথা বলা হয়নি। বরং বিষয়টিকে শর্তহীন রেখে দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং, কেউ যদি ঘুমের আগে নফল নামাজে সূরা মুলক পাঠ করে তাহলে সেও উক্ত ফজিলত লাভ করবে বলে আশা করা যায়। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, সর্বদা নফল নামাজে সূরা মুলক পাঠ করা যাবে না। কারণ তখন নামাজে পাঠ করার জন্য একটি সূরাকে নির্দিষ্ট করে নেওয়া হচ্ছে। শরিয়তের দৃষ্টিতে যা একটি মাকরূহ কাজ।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم