প্রশ্ন
আমাদের মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেব মহল্লায় এক নারীদের কলেজে শিক্ষকতা করেন। জানতে চাচ্ছি, এমন ইমামের পিছনে নামাজ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
উক্ত ইমাম সাহেব যদি কলেজে থাকাকালীন পর্দার বিধান যথাযথভাবে মেনে চলেন, নিজের চোখের হেফাজত করেন এবং ব্যক্তিগত জীবনেও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকেন তাহলে এমন ইমামের পিছনে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।
কিন্তু তিনি যদি কলেজে থাকাকালীন পর্দার বিধান যথাযথভাবে না মানেন কিংবা চোখের হেফাজত না করেন তাহলে শরিয়তের দৃষ্টিতে তিনি ফাসেক। আর ফাসেকের পিছনে নামাজ পড়া মাকরূহে তাহরীমি। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
فليؤمكم خياركم
‘তোমাদের মাঝে উত্তম ব্যক্তি যেন তোমাদের ইমামতি করায়।’ [মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৪৯৮১]
তবে এমন ইমামের পিছনে নামাজ পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে মসজিদের দায়িত্বশীলদের কর্তব্য হল, তাকে বুঝিয়ে সঠিক পথে নিয়ে আসা। তিনি যদি ফিরে না আসেন তাহলে ভিন্ন ইমাম নিয়োগ দেওয়া।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم