প্রশ্ন
আমার ভাই টিউশনি করান। তার কাছে ছেলে মেয়ে সবাই পড়ে থাকে। অধিকাংশ মেয়েরা বেপর্দাভাবে পড়তে আসে। জানতে চাচ্ছি, আমার ভাই যে, পর্দাহীনতার মাধ্যমে পড়িয়ে টাকা নিচ্ছেন, তা কি তার জন্য বৈধ হচ্ছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
পর্দা একটি ফরজ বিধান। আল্লাহ তাআলা পর্দ করাকে ফরজ করে দিয়েছেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ
‘হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়।’[সূরা আহযাব, আয়াত: ৫৯]
‘আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ তাআলা মুমিন নারীদেরকে আদেশ করেছেন যখন তারা কোনো প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে তখন যেন মাথার উপর থেকে ওড়না/চাদর টেনে স্বীয় মুখমণ্ডল আবৃত করে। আর (চলাফেরার সুবিধার্থে) শুধু এক চোখ খোলা রাখে।’[ফাতহুল বারী ৮/৫৪, ৭৬, ১১৪]
পর্দার বিধান না মানলে গুনাহগার হতে হবে। তাছাড়া পর্দাহীনতা সমাজে বিভিন্ন ধরনের ফেতনার সৃষ্টি করে। কাজেই প্রতিটি মুসলমানের উচিৎ পর্দার বিধান যথাযথভাবে মান্য করা।
সুতরাং আপনার ভাইয়ের জন্য জরুরি হল, পর্দা রক্ষা করে পড়ানোর কাজ চালিয়ে দেওয়া। তবে উক্ত কারণে তার ইনকামকে হারাম বলা যাবে না। বরং তার ইনকাম হালাল হচ্ছে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم