প্রশ্ন
কোনো ছাত্র যদি তার শিক্ষকের নামাজের ভুল ধরে তাহলে কি বেআদবী হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, খোদ সাহাবায়ে কেরাম রাসূল (সা.)-এর নামাজের ভুল ধরেছিলেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ مِنْ اثْنَتَيْنِ فَقَالَ لَهُ ذُو الْيَدَيْنِ أَقَصُرَتْ الصَّلاَةُ أَمْ نَسِيتَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ فَقَالَ النَّاسُ نَعَمْ فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى اثْنَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ كَبَّرَ فَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ
‘আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল (সা.) দু’ রাকাত আদায় করে নামাজ শেষ করে ফেললেন। যূল-ইয়াদাইন (রা.) তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! নামাজ কি কম করা হয়েছে, না আপনি ভুলে গেছেন? আল্লাহর রাসূল (সা.) (অন্যদের লক্ষ্য করে) বললেন, যূল-ইয়াদাইন কি ঠিক বলছে? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ। তখন আল্লাহর রাসূল (সা.) দাঁড়ালেন এবং আরও দু’ রাকাত নামাজ আদায় করলেন, অতঃপর সালাম ফিরালেন এবং তাকবির বলে স্বাভাবিক সিজদার মতো অথবা তার চেয়ে দীর্ঘ সিজদা্ করলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭১৪]
যেখানে সাহাবায়ে কেরাম রাসূল (সা.)-এর নামাজের ভুল ধরেছেন সেখানে ছাত্র তার শিক্ষকের নামাজের ভুল ধরলে কিভাবে বেআদবী হবে?
সুতরাং শিক্ষক যদি তার নামাজে কখনো কোনো ভুল করে তাহলে ছাত্ররা তা ধরিয়ে দিতে পারবে। এতে বেআদবী হবে না। বরং এটি তাদের জন্য করা আবশ্যক।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم