প্রশ্ন
কিছুদিন আগে এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলাম, নামাজী ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশের সময় তার গুনাহগুলো ফেরেশতারা মাথায় নিয়ে মসজিদের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে উক্ত ব্যক্তি গুনাহমুক্ত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করে। ব্যক্তি বেশি সময় মসজিদে অবস্থান করলে ফেরেশতাদের জন্য সেই গুনাহ বহন করা কষ্ট হয়ে যায়। ফলে তারা তা সমুদ্রে ফেলে দেয়। জানতে চাচ্ছি, বিষয়টি কতটুকু সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরআন হাদিসের কোথাও এ জাতীয় কথা বর্ণিত হয়নি। সুতরাং এটি একটি ভিত্তিহীন কথা।
তবে কোনো ব্যক্তি যদি নামাজের পর পবিত্র অবস্থায় নামাজের স্থানে বসে থাকে তাহলে ফেরেশতারা তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করে থাকে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
الْمَلَائِكَةُ تُصَلِّي عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مُصَلاَّهُ مَا لَمْ يُحْدِثْ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ لاَ يَزَالُ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا دَامَتْ الصَّلاَةُ تَحْبِسُهُ لاَ يَمْنَعُهُ أَنْ يَنْقَلِبَ إِلَى أَهْلِهِ إِلاَّ الصَّلاَةُ
‘তোমাদের কেউ যতক্ষণ তার নামাজের স্থানে থাকে তার অজু ভঙ্গ না হওয়া পর্যন্ত তার জন্য ফেরেশতারা এ বলে দোয়া করেন যে, হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন, হে আল্লাহ! আপনি তার উপর রহম করুন। আর তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তির নামাজই তাকে বাড়ি ফিরে যাওয়া হতে বিরত রাখে, সে নামাজে রত আছে বলে পরিগণিত হবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৫৯]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم