প্রশ্ন
এ বছর কুরবানীর জন্য খুঁজছিলাম। এলাকার এক ব্যক্তি শরিক হতে আগ্রহী। কিন্তু সে চোরাকারবারীদের সাথে জড়িত। বিভিন্ন চোরাই জিনিস সে মার্কেটে বিক্রি করে থাকে। জানতে চাচ্ছি, উক্ত ব্যক্তিকে শরিক হিসেবে নেওয়া যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
চোরাই জিনিস বিক্রি করাও হারাম। হাদিস শরিফে এসেছে,
عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال: من اشترى سرقة وهو يعلم أنها سرقة فقد اشرك في عارها واثمها
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো বস্তু চুরির মাল জেনেও ক্রয় করে তবে সেও সেই অপরাধে এবং গুনাহে শরীক হবে।’[সুনানে বায়হাকী ৫/৩৩৫]
অপরদিকে আল্লাহ তাআলা হালাল জিনিস ছাড়া কোনো কিছু কবুল করেন না। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا
‘আল্লাহ তাআলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২২৩৬]
কাজেই আল্লাহ তাআলার দরবারে কুরবানী কবুল হওয়ার জন্য সম্পদ হালাল হতে হবে। হারাম সম্পদ দ্বারা কুরবানী করলে সেই কুরবানী আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
সুতরাং শরিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন শরিক নির্বাচন করতে হবে যার সম্পদ হালাল। অন্যথায় কারো কুরবানী সহিহ হবে না।
কাজেই উক্ত ব্যক্তিকে শরিক হিসেবে নেওয়া বৈধ হবে না।
সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم