প্রশ্ন
মুবাহালা কি কুরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জ্বি, মুবাহালা কুরআন হাদিস দ্বারা সমর্থিত। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
فَمَنْ حَاجَّكَ فِيهِ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ وَنِسَاءَنَا وَنِسَاءَكُمْ وَأَنْفُسَنَا وَأَنْفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ
‘অতঃপর তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর যে তোমার সাথে এ বিষয়ে ঝগড়া করে, তবে তুমি তাকে বল, ‘এস আমরা ডেকে নেই আমাদের সন্তানদেরকে ও তোমাদের সন্তানদেরকে। আর আমাদের নারীদেরকে ও তোমাদের নারীদেরকে এবং আমাদের নিজদেরকে ও তোমাদের নিজদেরকে, তারপর আমরা বিনীত প্রার্থনা করি, ‘মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লানত করি’।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৬১]
রাসূল (সা.) নিজেও মুবাহালার জন্য নাজরানের খ্রিস্টানদের আহবান করেছিলেন। বিভিন্ন সহিহ হাদিস থেকে ঘটনাটি প্রমাণিত। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘হুযাইফা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাজরান এলাকার দু’জন সরদার আকিব এবং সাইয়িদ রাসূল (সা.)-এর কাছে এসে তাঁর সঙ্গে মুবাহালা করতে চেয়েছিল। বর্ণনাকারী হুযাইফা (রা.) বলেন, তখন তাদের একজন তার সঙ্গীকে বলল, এরূপ করো না। কারণ আল্লাহর কসম! তিনি যদি নবী হয়ে থাকেন আর আমরা তাঁর সঙ্গে মুবাহালা করি তাহলে আমরা এবং আমাদের পরবর্তী সন্তান-সন্ততি (কেউ) রক্ষা পাবে না।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৩৮০]
এ ছাড়া অসংখ্য সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ীনসহ উলামায়ে কেরাম থেকে মুবাহালার প্রমাণ পাওয়া যায়।
মুসতাদরাকে হাকেম ২/৫৯৪; তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/৩৬৮; ফাতহুল বারী ৮/৯৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم