প্রশ্ন
আমার এক আত্মীয়ার নাক বোঁচা হওয়ার কারণে বিয়ে হচ্ছে না। জানতে চাচ্ছি, উক্ত কারণে সার্জারি করে না ক উঁচু করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কারো নাক যদি আসলেই ত্রুটিপূর্ণ হয় এবং ডাক্তাররাও সেটিকে ত্রুটিপূর্ণ বলে গণ্য করে থাকেন তাহলে এমন নাক সার্জারি করে ঠিক করা যাবে। অন্যথায় সার্জারির মাধ্যমে নাক উঁচু করা বৈধ হবে না। কারণ শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য শরীরের গঠনে কোনোরূপ পরিবর্তন আনা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। কারণ এটি মূলত আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার নামান্তর, যা হারাম। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ
‘আল্লাহর সৃষ্টির কোনো পরিবর্তন নেই।’ [সূরা রূম, আয়াত: ৩০]
হাদিস শরিফে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
‘আল্লাহ তাআলা অভিসম্পাত করেছেন সে সব নারীদের উপর, যারা দেহাঙ্গে উল্কি আঁকে এবং যারা আঁকায়, যারা ভ্রু চেঁছে সরু (প্লাক) করে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৮৮৬]
বিয়ে আল্লাহ তাআলা যেখানে লিখে রেখেছেন শত ত্রুটিসহকারে সেখানেই হবে। এ নিয়ে পেরেশান হওয়ার কিছু নেই। অভিভাবকদের দায়িত্ব হল সে পর্যন্ত ভালো ছেলের সন্ধান করে যাওয়া।
কাজেই বিয়ে হচ্ছে না দেখে সার্জারির মাধ্যমে নাক উঁচু করা বৈধ হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم