প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ মালের মালিক ছিল। কিন্তু জ্বিলহজ্বের ১০ তারিখ সে কুরবানী করেনি। ১১ তারিখে তার ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ায় সে দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এখন সে নেসাব পরিমাণ মালের মালিক নয়। প্রশ্ন হল, উক্ত ব্যক্তির উপর কুরবানী আবশ্যক থাকবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলিম নারী-পুরুষগণের মধ্যে যারা যিলহ্জ্ব মাসের ১০, ১১, ১২ তারিখের সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাদ দিয়ে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من وجد سعة لأن يضحي فلم يضح فلا يقربن مصلانا.
‘যার কুরবানী করার সামর্থ্য আছে তবুও কুরবানী করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ [মুসনাদে আহমাদ ২/৩২১; মুস্তাদরাকে হাকেম ৭৬৩৯]
সুতরাং উক্ত সময়ের মাঝেই কারো নেসাব যদি নিঃশেষ হয়ে যায় তাহলে তার উপর আর কুরবানী আবশ্যক থাকবে না।
কাজেই উক্ত ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব থাকবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم