প্রশ্ন
আমি শুনেছি যে, আইয়ামে তাশরীকে রোজা রাখা নিষিদ্ধ। অপরদিকে প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখা অনেক ফজিলতের। জানতে চাচ্ছি, জ্বিলহজ্ব মাসে উক্ত তিনদিন কিভাবে রোজা রাখা যাবে? কারণ, ১৩ তারিখ আইয়ামে তাশরীকের অন্তর্ভুক্ত!
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আইয়ামে তাশরীকে রোজা রাখা নিষিদ্ধ। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
أَيَّامُ التَّشْرِيقِ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ
‘আইয়ামে তাশরীক হচ্ছে পানাহার করার দিন।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫৬৭]
জ্বিলহজ্ব মাসে আইয়ামে বীযের রোজা রাখতে হলে ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখবে এবং তারপর যেকোনো একদিন তার সাথে মিলিয়ে নিবে। আশা করা যায় যে, আইয়ামে বীযের রোজার ফজিলত লাভ হয়ে যাবে। কারণ, কিছু হাদিসে পাওয়া যায় যে, রাসূল (সা.) কখনো কখনো প্রতি মাসে দিন নির্দিষ্ট করা ছাড়াই তিনদিন রোজা রাখতেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ مُعَاذَةَ، قَالَتْ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ: أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، قَالَتْ: نَعَمْ، قُلْتُ: مِنْ أَيِّ شَهْرٍ كَانَ يَصُومُ، قَالَتْ: مَا كَانَ يُبَالِي مِنْ أَيِّ أَيَّامِ الشَّهْرِ كَانَ يَصُومُ
‘মুআযা (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করি, রাসূল (সা.) কি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা পালন করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি জিজ্ঞেস করি, মাসের কোন কোন দিনে রোজা রাখতেন? তিনি বললেন, তিনি নির্দিধায় যে কোনো তিন দিন রোজা রাখতেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৪৫৩]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم