প্রশ্ন
জনৈক হানাফী মাযহাবের অনুসারী ব্যক্তি একজন শাফেয়ী মাযহাবের অনুসারীর সাথে শরিকানায় কুরবানী করেছে। কিন্তু শাফেয়ী মাযহাবের লোকটি পশুটি জবাই করার সময় ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ বলেনি। প্রশ্ন হল, এই কুরবানী শুদ্ধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শাফেয়ী মাযহাব মতে ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ ছেড়ে দেওয়া হলেও জবাই শুদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু হানাফী মাযহাব মতে জবাই শুদ্ধ হওয়ার জন্য বিসমিল্লাহ বলা শর্ত। বিসমিল্লাহ বলা ছাড়া জবাই শুদ্ধ হবে না এবং উক্ত প্রাণি খাওয়া হালাল হবে না। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ
‘আর তোমরা তা থেকে আহার করো না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি এবং নিশ্চয় তা সীমালঙ্ঘন।’ [সূরা আনআম, আয়াত: ১২১]
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আদী ইবনে হাতিম (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর সম্পর্কে) রাসূল (সা.)-কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তুমি যখন তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর শিকার ধরতে ছেড়ে দাও, তখন সে হত্যা করলে তা তুমি খেতে পার। আর সে তার অংশবিশেষ খেয়ে ফেললে তুমি তা খাবে না। কারণ সে তা নিজের জন্যই শিকার করেছে। আমি বললাম, কখনো কখনো আমি আমার কুকুর (শিকারে) পাঠিয়ে দেই, অতঃপর তার সঙ্গে অন্য এক কুকুরও দেখতে পাই (এমতাবস্থায় শিকারকৃত প্রাণীর কী হুকুম)? তিনি বললেন, তবে খেও না। কারণ তুমি বিসমিল্লাহ বলেছ কেবল তোমার কুকুরের বেলায়, অন্য কুকুরের বেলায় বিসমিল্লাহ বলনি।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৭৫]
যেহেতু হানাফী মাযহাব মতে ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ ত্যাগ করলে উক্ত পশু হালাল হয় না, তাই প্রশ্নে বর্ণিত কুরবানীটি হানাফী মাযহাবের অনুসারীর জন্য বিশুদ্ধ হবে না।
রদ্দুল মুহতার ২/৩০২; ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন ২/১১৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم