প্রশ্ন
কুরআনে বর্ণিত দোয়াগুলোতে বচন পরিবর্তন করে পাঠ করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরআনে বর্ণিত দোয়াগুলো যদি তেলাওয়াত হিসেবে পাঠ করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কোনো হরফ বা শব্দ পরিবর্তন করে পাঠ করা বৈধ হবে না। ইচ্ছাকৃত কেউ এ কাজ করলে সে কাফের হয়ে যাবে। কাযী ইয়ায (রহ.) তার কিতাবে লিখেন,
‘মুসলিম উম্মাহ এ ব্যাপারে ইজমা করেছেন যে, কুরআন হচ্ছে আল্লাহর বাণী ও নবি মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি আল্লাহর নাযিলকৃত ওহি; যা পৃথিবীর সর্ব অঞ্চলে তেলাওয়াতকৃত, মুসলমানদের স্বহস্তে লিপিবদ্ধ, মুসহাফের দুই মলাটের মধ্যে সন্নিবেশিত, যার শুরু হয়েছে-الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ العالمين দিয়ে এবং শেষ হয়েছে- قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ দিয়ে। কুরআনের মধ্যে যা কিছু আছে সবই সত্য। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে এর একটি হরফ কমাবে অথবা একটি হরফের স্থানে অন্য একটি হরফ দিয়ে পরিবর্তন করবে অথবা এমন কিছু বৃদ্ধি করবে যা মুসলমানদের ইজমা (ঐকমত্য) প্রতিষ্ঠিত মুসহাফে ছিল না এবং যেটার ব্যাপারে ইজমা রয়েছে যে- তা কুরআন নয়; যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত এসব করবে সে কাফের।’ [আশ-শিফা ২/৩০৪-৩০৫]
কিন্তু দোয়া হিসেবে পাঠ করলে তা পরিবর্তন করে পাঠ করা যাবে।
তবে উত্তম হল, দোয়া হিসেবে পাঠ করা হলেও কুরআনে বর্ণিত দোয়াগুলোর বচন পরিবর্তন না করা।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم