প্রশ্ন
বর্তমানে অনেকেই ক্বাবলাল জুমআ চার রাকাত নামাজ পড়ে থাকে। জানতে চাচ্ছি, এই নামাজের কোনো ভিত্তি আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জুমআর পূর্বে নামাজ পড়ার বিষয়টি হাদিস ও আছার দ্বারা প্রমাণিত। হাদিস শরিফে এসেছে,
‘নাফে (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনে উমর (রা.) জুমআর নামাজের পূর্বে দীর্ঘক্ষণ নামাজ আদায় করতেন এবং জুমআর নামাজের পরে বাড়িতে গিয়ে দু’ রাকাত নামাজ আদায় করতেন এবং বলতেন, রাসূল (সা.) এরূপ করেছেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১১২৮]
আর চার রাকাত পড়ার বিষয়েও সাহাবায়ে কেরামের অসংখ্য আছার বিদ্যমান রয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) জুমআর আগে ও পরে চার রাকাত করে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিতেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَأْمُرُنَا أَنْ نُصَلِّيَ قَبْلَ الْجُمُعَةِ أَرْبَعًا، وَبَعْدَهَا أَرْبَعًا
‘আবু আব্দুর রহমান আস সুলামী (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে মাসউদ (রা.) আমাদেরকে জুমআর আগে চার রাকাত এবং জুমআর পরে চার রাকাত নামাজ পড়ার নির্দেশ দিতেন।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ৫৫২৫]
এ হাদিস থেকে বুঝা যাচ্ছে, ক্বাবলাল জুমআ এই চার রাকাত নামাজের গুরুত্ব রয়েছে। অন্যথায় ইবনে মাসউদ (রা.) সেই চার রাকাত নামাজ পড়ার নির্দেশ প্রদান করতেন না।
আরেক হাদিসে এসেছে,
‘জাবালাহ ইবনে সুহাইম (রহ.) থেকে বর্ণিত, ইবনে উমর (রা.) জুমআর নামাজের পূর্বে চার রাকাত নামাজ পড়তেন। দু’রাকাতের পর সালাম ফিরাতেন না।’ [শরহু মাআনিল আছার, হাদিস: ১৯৬৫]
সুনানে আবু দাউদ-এর মুহাক্কিক শুয়াইব আরনাউত (রহ.) বলেন, উক্ত হাদিসটির সনদ সহিহ। [সুনানে আবু দাউদ ২/৩৪২]
তাবেয়ী সাইদ ইবনে আমর ইবনে সাইদ ইবনুল আস (রহ.) বলেন,
‘জুমআর দিন সূর্য ঢলে যাওয়ার পর রাসূল (সা.)-এর সাহাবাগণকে আমি চার রাকাত নামাজ পড়তে দেখেছি।’ [আত তামহীদ, ইবনু আব্দিল বার, ৪/২৬]
সুতরাং বুঝা গেল, ক্বাবলাল জুমআ চার রাকাতের ভিত্তি শরিয়তে রয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم