প্রশ্ন
আমি একজন ব্যাংকার। ব্যাংকে চাকরিরত অবস্থায় বেতনের টাকা জমিয়ে আমার ফরজ হজ্ব আদায় করি। পরবর্তীতে জানতে পারি, ব্যাংকের চাকরি বৈধ নয়। এখন সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। আমার প্রশ্ন হল, উক্ত হারাম টাকা দিয়ে ফরজ হজ্ব আদায় করার কারণে কি আমার সেই ফরজ হজ্ব আদায় হয়েছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইবাদত কবুলের জন্য ইনকাম ও খাদ্য হালাল হওয়া শর্ত। হাদিস শরিফে এসেছে,
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, হে লোক সকল! আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করে না। আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে সেই আদেশ করেছেন, যে আদেশ করেছেন তিনি রাসূলগণকে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর ও সৎকর্ম কর, তোমরা যা কর, সে সম্বন্ধে আমি অবহিত।” (সূরা মুমিনুন: ৫১) তিনি আরো ইরশাদ করেছেন, “হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে আমি যে সব পবিত্র বস্তু দিয়েছি, তা থেকে আহার কর।” (সূরা বাকারা: ১৭২)
এরপর নবী (সা.) এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে, দীর্ঘ সফর করে, যার এলোমেলো চুল ধুলায় ধূসরিত সে আকাশের দিকে দু হাত তুলে বলে, হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম এবং তাঁর শরীর গঠিত হয়েছে হারামে। অতএব, তার দোয়া কীভাবে কবুল করা হবে? [সুনানে তিরমিযি, হাদিস: ২৯৮৯]
সুতরাং আপনি যেহেতু হারাম সম্পদ দ্বারা হজ্ব করেছেন তাই আপনি আপনার হজ্বের সওয়াব লাভ করবেন না এবং সে হ্জব কবুলও হবে না। তবে হজ্বের সওয়াব পাওয়া না গেলেও আপনার ফরজ হজ্ব আদায় হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় হল, যদি সম্ভব হয় তাহলে হজ্বে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে সে পরিমাণ টাকা হালাল সম্পদ থেকে সদকা করে দিবেন। তাহলে আশা করা যায় যে, আল্লাহ তাআলা আপনার হজ্ব কবুল করবেন।
আলবাহরুর রায়েক ২/৩০৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم