প্রশ্ন
আমার এক বন্ধু হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত। কিছুদিন আগে হস্তমৈথুনের শাস্তি সম্পর্কে অবগত হয়। এখন সে পরিপূর্ণভাবে তা ত্যাগ করেছে। সে জানতে চাচ্ছে, হস্তমৈথুনের শাস্তি থেকে আখিরাতে বাঁচার কোনো পন্থা আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হস্তমৈথুন করা মারাত্মক পর্যায়ের কবীরা গুনাহ। কেয়ামতের দিন হস্তমৈথুনকারীর কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। উক্ত গুনাহের শাস্তি থেকে বাঁচার একমাত্র পন্থা হল আল্লাহর কাছে খাঁটি মনে তওবা করা। কেউ যদি খাঁটি মনে তওবা করে তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার তওবা কবুল করবেন এবং তার গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ
‘নিশ্চয় তাওবা কবুল করা আল্লাহর জিম্মায় তাদের জন্য, যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে। তারপর শীঘ্রই তাওবা করে। অতঃপর আল্লাহ এদের তাওবা কবুল করবেন।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১৭]
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ
‘গোনাহ থেকে তওবাকারী এমন, যেন সে গোনাহ করেইনি।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪২৫০]
পাশাপাশি পূর্বের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হতে হবে এবং ভবিষ্যতে এই গুনাহে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় সংকল্প থাকতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم