প্রশ্ন
একটি মাসিক পত্রিকায় পড়েছি, জান্নাতে খাদিজা (রা.)-কে একটি বাঁশের ঘর দেওয়া হবে। প্রশ্ন হল, এখানে বাঁশ বলতে কেমন বাঁশ উদ্দেশ্য? দুনিয়ার বাঁশের মতো না ভিন্ন কিছু?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ أَتَى جِبْرِيلُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذِهِ خَدِيجَةُ قَدْ أَتَتْ مَعَهَا إِنَاءٌ فِيهِ إِدَامٌ أَوْ طَعَامٌ أَوْ شَرَابٌ فَإِذَا هِيَ أَتَتْكَ فَاقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلَامَ مِنْ رَبِّهَا وَمِنِّي وَبَشِّرْهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ لَا صَخَبَ فِيهِ وَلَا نَصَبَ
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার জিবরীল (আ.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই যে খাদীজা (রা.) আপনার কাছে আসছেন, তা র সাথে একটি পাত্র রয়েছে, যাতে তরকারি আছে বা (বর্ণনাকারী বলেন) খাবার অথবা পানীয়। তিনি আপনার কাছে এসে পৌঁছলে তাকে তার রবের পক্ষ থেকে সালাম বলবেন এবং তাকে জান্নাতে একটি বাঁশের ঘরের সুসংবাদ দিবেন, যেখানে কোনো শোরগোল এবং ক্লান্তি থাকবে না। [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৩৯]
আরেক বর্ণনায় রয়েছে, ফাতেমা (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, ঘরটি কি (দুনিয়ার) এই বাঁশের তৈরি হবে? উত্তরে তিনি বলেছেন, না; তা হবে মুক্তা ও ইয়াকূত পাথরে গাঁথা বাঁশের দ্বারা তৈরি। [তাবারানী, কাবীর, ১/২৭৪; মাজমাউয যাওয়াইদ ৯/৩৫৮]
সুতরাং উক্ত হাদিসে বাঁশ দ্বারা দুনিয়ার সাধারণ বাঁশ উদ্দেশ্য নয়। হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) আল্লামা ইবনুত ত্বীন (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন যে, হাদিসে বাঁশ দ্বারা উদ্দেশ্য হল ফাঁপা প্রশস্ত মণি-মুক্তা।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم