প্রশ্ন
ফী সাবীলিল্লাহ দ্বারা কী শুধু দাওয়াত ও তাবলীগ উদ্দেশ্য?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ফী সাবীলিল্লাহ শব্দটি ব্যাপক অর্থবহ। দাওয়াত ও তাবলীগ ছাড়াও আরো অনেক ক্ষেত্র ফী সাবীলিল্লাহ-এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তবে ফী সাবীলিল্লাহ-এর সবচেয়ে বড় ও এক নম্বর ক্ষেত্র হল জিহাদ। এ ব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত নেই। এ ছাড়া আরো অন্যান্য ক্ষেত্রও যে ফী সাবীলিল্লাহ-এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে সে ব্যাপারে সবচেয়ে বড় দলিল হল রাসূল (সা.)-এর হাদিস। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَة، قَالَ: مَرَّ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ، فَرَأَى أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ جِلْدِهِ وَنَشَاطِهِ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ: لَوْ كَانَ هَذَا فِي سَبِيلِ اللهِ؟، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنْ كَانَ خَرَجَ يَسْعَى عَلَى وَلَدِهِ صِغَارًا فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللهِ، وَإِنْ كَانَ خَرَجَ يَسْعَى عَلَى أَبَوَيْنِ شَيْخَيْنِ كَبِيرَيْنِ فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللهِ، وَإِنْ كَانَ يَسْعَى عَلَى نَفْسِهِ يُعِفُّهَا فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللهِ، وَإِنْ كَانَ خَرَجَ رِيَاءً وَمُفَاخَرَةً فَهُوَ فِي سَبِيلِ الشَّيْطَانِ
‘কাব ইবনে উজরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর সম্মুখ দিয়ে যাচ্ছিল। সাহাবায়ে কেরাম তার সুঠাম দেহ ও শারীরিক সক্ষমতা দেখে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, যদি এই ব্যক্তি আল্লাহর পথে থাকত! রাসূল (সা.) তখন বললেন, সে যদি তার নাবালেগ বাচ্চার লালন পালন ব্যয় নির্বাহের জন্য বের হয়ে থাকে তাহলে সে ফী সাবীলিল্লাহে রয়েছে। আর যদি সে বৃদ্ধ পিতা মাতার ব্যয় নির্বাহের জন্য বের হয়ে থাকে তাহলে সে ফী সাবীলিল্লাহে রয়েছে। আর যদি সে নিজেকে পূত পবিত্র রাখার চেষ্টায় থাকে তাহলে সে ফী সাবীলিল্লাহে রয়েছে। আর যদি রিয়া ও দাম্ভিকতা প্রদর্শনে বের হয়ে থাকে তাহলে সে শয়তানের পথে রয়েছে।’ [আল মুজামুল কাবীর, হাদিস: ২৮২]
উক্ত হাদিস থেকে বুঝা যাচ্ছে, ফী সাবীলিল্লাহের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। শুধু দাওয়াত ও তাবলীগই ফী সাবীলিল্লাহ- এমন কথা বলা সঠিক হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم