প্রশ্ন
বর্তমানে মাহের জেইনসহ অনেক গায়কের মিউজিক বিশিষ্ট অনেক সুন্দর সুন্দর আরবী নাশীদ ইউটিউবে পাওয়া যায়। জানতে চাচ্ছি, সেগুলো শোনা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আরবী নাশীদ মিউজিক বিশিষ্ট হলে সেগুলো শোনা বৈধ হবে না। কেননা, হাদিসে মিউজিক বিশিষ্ট গান বা গজল শোনার ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي مَالِكٍ الْأَشْعَرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيَشْرَبَنَّ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي الْخَمْرَ، يُسَمُّونَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا، يُعْزَفُ عَلَى رُءُوسِهِمْ بِالْمَعَازِفِ، وَالْمُغَنِّيَاتِ، يَخْسِفُ اللَّهُ بِهِمُ الْأَرْضَ، وَيَجْعَلُ مِنْهُمُ الْقِرَدَةَ وَالْخَنَازِيرَ
‘রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,‘আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে। আর তাদের মাথার উপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা রমণীদের গান বাজতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জমিনে ধ্বসিয়ে দিবেন এবং তাদের কতককে বানর ও শূকরে রূপান্তরিত করবেন।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪০২০]
আরেক হাদিসে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: الدُّفُّ حَرَامٌ، وَالْكُوبَةُ حَرَامٌ، وَالْمِزْمَارُ حَرَامٌ
‘দফ হারাম। বাদ্যযন্ত্র হারাম। মদের পেয়ালা হারাম। বাঁশী হারাম।’ [সুনানে সুগরা লিলবায়হাকী, হাদিস: ৩৩৫৯]
তবে উক্ত গায়কদের কোনো আরবী নাশীদ যদি মিউজিকমুক্ত হয় এবং সেগুলোর কথা সুন্দর হয় তাহলে সেগুলো শুনতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মিউজিক বিশিষ্টগুলো শোনা বৈধ হবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم