প্রশ্ন
আমি অনেক আগে ইচ্ছাকৃত একটি রোজা ভেঙ্গেছিলাম। আমি কাফফারার ষাটটি রোজা রাখতে সক্ষম। জানতে চাচ্ছি, সেই ষাটটি রোজা না রেখে কাফফারার নির্দিষ্ট ফিদয়া দেওয়া যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কোনো ব্যক্তি যদি কাফফারার ষাটটি রোজা রাখতে সক্ষম হয় তাহলে তার জন্য অন্য উপায়ে কাফফারা আদায় করা বৈধ হবে না। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ هَلَكْتُ قَالَ وَمَا أَهْلَكَكَ قَالَ وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَعْتِقْ رَقَبَةً قَالَ لَا أَجِدُ قَالَ صُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ لَا أُطِيقُ قَالَ أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا
‘আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিান বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর নিকট এসে বললো, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বলেন, কিসে তোমাকে ধ্বংস করলো। সে বললো, আমি রমযানের রোযারত অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছি। রাসূল (সা.) বলেন, তুমি একটি গোলাম আযাদ করো সে বললো, আমার সেই সামর্থ্য নাই। তিনি বলেন, তাহলে একাধারে দু’ মাস রোযা রাখো। সে বললো, আমার সেই সামর্থ্যও নাই। তিনি বলেন, তাহলে ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৭১]
সুতরাং আপনি ফিদয়া দিতে পারবেন না। বরং লাগাতার ষাটটি রোজাই রাখতে হবে।
বিনায়া শরহুল হিদায়া ৪/৩০৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم