প্রশ্ন
জুমআর দিন দোয়া কবুলের বিশেষ কোনো সময় আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জ্বি, জুমআর দিন দোয়া কবুলের বিশেষ একটি সময় আছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
‘সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমআর দিনই হচ্ছে সর্বোত্তম। আদম (আ.)-কে এদিনেই সৃষ্টি করা হয়েছিলো। এদিনই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিলো। এদিনই তাঁর তওবা কবুল হয়েছিলো। এদিনই তিনি ইন্তিকাল করেছিলেন এবং এদিনই কিয়ামত সংঘটিত হবে। জিন ও মানুষ ছাড়া প্রতিটি প্রাণী শুক্রবার দিন ভোর হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত কিয়ামতের ভয়ে ভীত থাকে। এদিন এমন একটি বিশেষ সময় রয়েছে, নামাজরত অবস্থায় কোনো মুসলিম বান্দা মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে কোনো অভাব পূরণের জন্য দোয়া করলে মহান আল্লাহ তাকে তা দান করেন।
কা‘ব বললেন, এ সময়টি প্রতি এক বছরে একটি জুমআর দিনে থাকে। আমি (আবু হুরায়রা) বললাম, না, বরং প্রতি জামআর দিনেই থাকে। অতঃপর কা‘ব (এর প্রমাণে) তাওরাত পাঠ করে বলেন, রাসূল (সা.) সত্যই বলেছেন।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, অতঃপর আমি আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি অবহিত করি। সেখানে কা‘ব (রা.)-ও উপস্থিত ছিলেন। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বললেন, আমি দোয়া কবুলের বিশেষ সময়টি সম্পর্ক জানি। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমাকে তা অবহিত করুন। তিনি বলেন, সেটি হলো জুমআর দিনের সর্বশেষ সময়। আমি (আবু হুরায়রা) বললাম, জুমআর দিনের সর্বশেষ সময় কেমন করে হবে? অথচ রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘‘যে কোন মুসলিম বান্দা নামাজরত অবস্থায় ঐ সময়টি পাবে…।’’ কিন্তু আপনার বর্ণনাকৃত সময়ে তো নামাজ আদায় করা যায় না। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বললেন, রাসূল (সা.) কি বলেননি, যে ব্যক্তি নামাজের জন্য বসে অপেক্ষা করবে সে নামাজ আদায় না করা পর্যন্ত নামাজরত বলে গণ্য হবে। আবু হুরায়রা বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বললেন, তা এরূপই।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৬]
দিনের সর্বশেষ সময় হল মাগরিবের আগ মুহূর্ত। কাজেই সে সময় দোয়া করলে আশা করা যায় যে, আল্লাহ তাআলা তা কবুল করবেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم