প্রশ্ন
আমি একজন দ্বীনের দাঈ হতে চাই। জানতে চাচ্ছি, বর্তমানে প্রচলিত তাবলীগ জামাত যেভাবে দ্বীনের দাওয়াত দেয় সেভাবে দাওয়াত দেওয়া কি জরুরি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আলহামদুলিল্লাহ ভাই, শুনে খুশি লাগল যে, আপনি দ্বীনের একজন দাঈ হতে চান। আল্লাহ তাআলা আপনার মেহনতকে কবুল করুন। দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত তাবলীগ জামাত যেভাবে দ্বীনের দাওয়াত দিচ্ছে সেটিও একটি পদ্ধতি। এ ছাড়া অন্যান্য পদ্ধতি হল, জিহাদের মাধ্যমে, ওয়াজের মাধ্যমে, লেখনীর মাধ্যমে, তাদরীস তথা মানুষকে দ্বীনী শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ
‘তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর।’ [সূরা নাহল, আয়াত: ১২৫]
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,
لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ
‘অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যে তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করে আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেয়।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৬৪]
অর্থাৎ, এক কথায় রাসূল (সা.)-এর বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হল উদ্দেশ্য। সুতরাং আপনি যেকোনোটি গ্রহণ করতে পারেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم