প্রশ্ন
আমার এক বন্ধুর তার স্ত্রীর সাথে প্রতিনিয়তই ঝগড়া হয়ে থাকে। ঝগড়া হলেই স্ত্রী তার কাছে তালাক চায়। এ কারণে আমার বন্ধু একদিন রাগান্বিত হয়ে বলে, আরেকবার যদি তুমি আমাকে পীড়াপীড়ি কর তাহলে তুমি যেমন চাও তেমনই হবে। এর দ্বারা তার তালাকের নিয়ত ছিল। এর কিছুদিন পর আবার তাদের ঝগড়া হয় এবং তার স্ত্রী আগের মত তালাক চায়। জানতে চাচ্ছি, এর দ্বারা তালাক হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নের বর্ণনা থেকে বুঝা যাচ্ছে, আপনার বন্ধু ভবিষ্যতে তালাক দেওয়ার ওয়াদা করেছেন। আর শুধু ওয়াদা করার দ্বারা তালাক পতিত হয় না। কাজেই আপনার বন্ধুর স্ত্রী পরবর্তীতে আবার তালাক চাইলেও তালাক হবে না।
আপনার বন্ধুর জন্য আমাদের পক্ষ থেকে নসীহত হল, যেহেতু তাদের মাঝে কিছুদিন পরপর ঝগড়া হচ্ছে, তাই তাদের উভয়ের ফ্যামিলি একত্রিত হয়ে একটি কল্যাণকর ফয়সালা করে নেওয়া। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَإِنِ امْرَأَةٌ خَافَتْ مِنْ بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَنْ يُصْلِحَا بَيْنَهُمَا صُلْحًا وَالصُّلْحُ خَيْرٌ
‘যদি কোন নারী তার স্বামীর পক্ষ থেকে কোন দুর্ব্যবহার কিংবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে, তাহলে তারা উভয়ে কোন মীমাংসা করলে তাদের কোন অপরাধ নেই। আর মীমাংসা কল্যাণকর।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১২৮]
রদ্দুল মুহতার ৩/৩১৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم