প্রশ্ন
যিনার কারণে আমাদের গ্রামে এক নারীর সন্তান হয়েছে। যে পুরুষের সাথে সে যিনা করেছে তাকে গ্রামের সবাই চিনে। আমার প্রশ্ন হল, উক্ত সন্তান কার পরিচয়ে বড় হবে? স্কুলে ভর্তির সময় বাবার নামের স্থানে উক্ত যিনাকারীর নাম ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যিনাকারী ব্যক্তি স্বীকার করলেও জারজ সন্তানের বংশ যিনাকার ব্যক্তি থেকে সাব্যস্থ হয় না। বরং তার বংশ সাব্যস্থ হয় তার মা থেকে। সুতরাং সে তার মায়ের পরিচয়ে বড় হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ فُلَانًا ابْنِي عَاهَرْتُ بِأُمِّهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا دَعْوَةَ فِي الْإِسْلَامِ، ذَهَبَ أَمْرُ الْجَاهِلِيَّةِ، الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ
‘আমর ইবনে শুআইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! অমুক আমার পুত্র, জাহিলী যুগে আমি তার মায়ের সাথে যিনা করেছিলাম। রাসূল (সা.) বললেন, ইসলামে অবৈধ সন্তানের দাবির কোনো ব্যবস্থা নেই। আর জাহিলী যুগের প্রথা বাতিল হয়ে গেছে। বিছানা যার সন্তান তার এবং যিনাকারীর জন্য রয়েছে পাথর।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২২৭৪]
কাজেই স্কুলে ভর্তির সময়ও তার মায়ের নামেই তাকে পরিচয় দিতে হবে। বাবার নামের স্থানে যিনাকারী ব্যক্তির নাম ব্যবহার করা বৈধ হবে না।
রদ্দুল মুহতার ৪/১৪২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم