প্রশ্ন
আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব পাঁচ বছর যাবৎ ইমামতি করছেন। কিছুদিন আগে তার ব্যাপারে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে, তিনি সুদী লেনদেনের সাথে জড়িত। জানতে চাচ্ছি, এমন ইমামের পিছনে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হবে কি? না হলে আমাদের পাঁচ বছরের নামাজের হুকুম কী হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যে ব্যক্তি হারাম কাজে লিপ্ত এবং সে ঐ কাজ থেকে তওবাও করেনি, শরিয়তের পরিভাষায় এমন ব্যক্তিকে ফাসেক বলা হয়। আর ফাসেক ব্যক্তির পিছনে নামাজ পড়া মাকরূহে তাহরিমি। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
فليؤمكم خياركم
‘তোমাদের মাঝে উত্তম ব্যক্তি যেন তোমাদের ইমামতি করায়।’ [মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৪৯৮১]
যেহেতু আপনাদের ইমাম সাহেব হারাম কাজে লিপ্ত আছেন, তাই উক্ত কাজ থেকে তিনি যদি তওবা না করে থাকেন তাহলে তার পিছনে নামাজ পড়া মাকরূহে তাহরিমি হবে। তা সত্ত্বেও কেউ যদি তার পিছনে নামাজ পড়ে তাহলে তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। কাজেই আপনাদের বিগত বছরের নামাজগুলো আদায় হয়ে গিয়েছে। তবে এখন আপনাদের কর্তব্য হল, তাকে বুঝিয়ে সঠিক পথে নিয়ে আসা। তিনি যদি ফিরে না আসেন তাহলে ভিন্ন ইমাম নিয়োগ দেওয়া।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم