প্রশ্ন
আমাদের এলাকার এক ব্যক্তি প্রকাশ্য শরিয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত। এলাকার কোনো কোনো ব্যক্তি তাকে কাফের বলে থাকে। জানতে চাচ্ছি, শরিয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার কারণে তাকে কাফের বলা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
না জেনে কাউকে কাফের বলা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالْفُسُوقِ، وَلاَ يَرْمِيهِ بِالْكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كَذَلِكَ
‘একজন অপর জনকে ফাসিক বলে যেন গালি না দেয় এবং একজন অন্যজনকে কাফির বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের উপরই আপতিত হবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬০৪৫]
কোনো ব্যক্তি শুধুমাত্র শরিয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত হলেই কাফের হয়ে যায় না। তবে সে যদি শরিয়তে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হারাম কাজকে বৈধ মনে করে করে থাকে তাহলে তাকে উলামায়ে কেরাম কাফের বলেন। ইবনে কুদামা (রহ.) লিখেন,
ومَن اعْتَقدَ حِلَّ شَىْءٍ أُجْمِعَ على تَحْرِيمِهِ، وظهَرَ حُكْمُه بين المسلمين، وزالتِ الشُّبْهَةُ فيه للنُّصوصِ الواردَةِ فيه، كلَحْمِ الخِنْزيرِ، والزِّنَي، وأشْباهِ هذا، مِمَّا لا خلافَ فيه، كَفَرَ
‘যে কাজ সর্বসম্মতভাবে হারাম, যার হুকুম মুসলমানদের মাঝে স্পষ্ট, যা হারাম হওয়ার ব্যাপারে দলিল বিদ্যমান থাকার কারণে সন্দেহের অবকাশ থাকে না এমন কাজকে কেউ যদি হালাল বলে বিশ্বাস করে তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে। যেমন, শূকরের মাংস খাওয়া, জিনা করা ইত্যাদি।’ [আল মুগনী ১২/২৭৬]
সুতরাং উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে, সে এ কাজগুলোকে বৈধ মনে করে কিনা। নিশ্চিত না হয়ে কোনোভাবেই তাকে কাফের বলা যাবে না।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم