প্রশ্ন
সূরা কাওছারে বর্ণিত কাওছার দ্বারা কী উদ্দেশ্য?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সূরা কাওছারে বর্ণিত কাওছার হল জান্নাতের একটি ঝর্ণা, যা আল্লাহ তাআলা জান্নাতে সৃষ্টি করে রেখেছেন এবং যা রাসূল (সা.)-কে দান করা হয়েছে। সেখান থেকে কিয়ামতের দিন তিনি তাঁর উম্মতদেরকে পানি পান করাবেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ: أَغْفَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِغْفَاءَةً، فَرَفَعَ رَأْسَهُ مُتَبَسِّمًا، فَإِمَّا قَالَ لَهُمْ، وَإِمَّا قَالُوا لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ ضَحِكْتَ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ أُنْزِلَتْ عَلَيَّ آنِفًا سُورَةٌ فَقَرَأَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ حَتَّى خَتَمَهَا، فَلَمَّا قَرَأَهَا قَالَ: هَلْ تَدْرُونَ مَا الْكَوْثَرُ؟ قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: فَإِنَّهُ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فِي الْجَنَّةِ، وَعَلَيْهِ خَيْرٌ كَثِيرٌ، عَلَيْهِ حَوْضٌ تَرِدُ عَلَيْهِ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ، آنِيَتُهُ عَدَدُ الْكَوَاكِبِ
‘আল মুখতার ইবনে ফুলফুল সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনে মালিক (রা.)-কে বলতে শুনেছি, রাসূল (সা.) তন্দ্রাচ্ছন্ন হলেন। অতঃপর মুচকি হেসে মাথা তুললেন। তিনি তাদেরকে অথবা তাঁকে তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কেন হাসলেন? তিনি বললেন, এইমাত্র আমার উপর একটি সূরা নাযিল হয়েছে। অতঃপর তিনি পড়লেন, পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে। ‘‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে আল-কাওছার দান করেছি।’’ এভাবে তিনি সূরাটি পাঠ শেষ করে বললেন, তোমরা কি জানো কাওছার কী? তারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বলেন, তা এমন একটি পানির ঝর্ণা যা আমার রব জান্নাতে সৃষ্টি করে রেখেছেন। তাতে অসংখ্য কল্যাণ বিদ্যমান। তাতে হাওয ও কাওছারও রয়েছে। আমার উম্মতগণ কিয়ামতের দিন সেখানে উপস্থিত হবে। এর পানপাত্রের সংখ্যা হবে (আকাশের) তারকার সমপরিমাণ।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৪৭]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم