প্রশ্ন
আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব সুস্থ সবল মানুষ ছিলেন। কিছুদিন আগে একটি অ্যাক্সিডেন্টে তিনি অন্ধ হয়ে যান। বর্তমানে তিনি ইমামতি করতে সক্ষম। কিন্তু একদল লোক তার পিছনে নামাজ পড়তে অসম্মতি জ্ঞাপন করছে। তারা বলে অন্ধ ব্যক্তির ইমামতি মাকরূহ। জানতে চাচ্ছি, উক্ত ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
অন্ধ হলেই যে তার ইমামতি মাকরূহ- বিষয়টি এমন নয়। বরং কেউ অন্ধ হয়েও যদি নামাজের মাসায়েল ভালোভাবে জানে এবং নাপাক থেকে বেঁচে থাকতে পারে তাহলে তার ইমামতিতে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, অনেক অন্ধ সাহাবীও সাহাবায়ে কেরামের ইমামতি করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم اسْتَخْلَفَ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ يَؤُمُّ النَّاسَ وَهُوَ أَعْمَى
‘আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূল (সা.) (তাবুক যুদ্ধে গমনকালে) ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)-কে (মদীনার) শাসক নিয়োগ করেছিলেন। তিনি লোকদের ইমামতি করতেন, অথচ তিনি অন্ধ ছিলেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫৯৫]
অন্য হাদিসে এসেছে,
عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ، كَانَ يَؤُمُّ قَوْمَهُ وَهْوَ أَعْمَى
‘মাহমূদ ইবনু রাবী আনসারী (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইতবান ইবনে মালিক (রা.) তাঁর নিজ গোত্রের ইমামতি করতেন। তিনি ছিলেন অন্ধ।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৬৭]
সুতরাং আপনাদের বর্তমান ইমাম সাহেব যদি নাপাক থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করে থাকেন তাহলে তার পিছনে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই। অযথা এ ব্যাপারে অসম্মতি জ্ঞাপন করা উচিৎ নয়।
রদ্দুল মুহতার ২/২৯৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم