প্রশ্ন
আমি একবার তাবলীগের সফরে এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি যে, অধিকাংশ মানুষ দ্বীনদার নয়। অল্প কিছু মানুষ দ্বীনদার। এদের কয়েকজনকে দেখলাম, আযানের পরের দোয়া পড়ার সময় হাত তুলে দোয়া পড়ে। আমি তাদেরকে নিষেধ করি। কিন্তু এক জন ছাড়া আর কেউ হাত ছাড়তে রাজি হয়নি। তারা বলে: তাদের পীর সাহেব নাকি এভাবে শিখিয়েছেন। এ ব্যাপারে আসলে শরিয়তের বিধান কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আযানের পরের দোয়া পড়ার অনেক ফযিলত রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَىَّ فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَىَّ صَلاَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا ثُمَّ سَلُوا اللَّهَ لِىَ الْوَسِيلَةَ فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِى الْجَنَّةِ لاَ تَنْبَغِى إِلاَّ لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ فَمَنْ سَأَلَ لِىَ الْوَسِيلَةَ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ
‘তোমরা যখন মুআযযিনকে আযান দিতে দেখবে তখন সে যা বলে তোমরাও তাই বলবে। অতঃপর আমার উপর দুরুদ পড়বে। কারণ যে আমার উপর একবার দুরুদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশবার শান্তি বর্ষণ করবেন।
অতঃপর আমার জন্য ওসীলা প্রার্থনা করবে। এটি এমন একটি স্থান, যা আল্লাহর এক বান্দাই কেবল লাভ করবে। আমি আশা করি, সে বান্দাটি আমিই হব। আর যে আমার জন্য ওসীলা প্রার্থনা করবে তার জন্য আমার সুপারিশ আবশ্যক হবে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৭৫]
এ দোয়ার মধ্যে হাত উঠিয়ে দোয়া পড়ার কথা বলা হয়নি। বরং এ দোয়া হল খাবার-দাবার, মসজিদে প্রবেশ এবং বের হওয়ার মত দোয়া।
সেগুলোতে যেমন হাত উঠাতে হয় না আযানের দোয়াতেও হাত উঠাতে হয় না। এটিই শরিয়তের বিধান। আশা করি, আপনি আপনার উত্তর পেয়েছেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم