প্রশ্ন
এক ব্যক্তির একটি সংস্থার জন্য ১০০টি ফ্যানের প্রয়োজন ছিল। আমি ঐ ব্যক্তিকে সাথে করে নিয়ে দোকান থেকে ১০০টি ফ্যান নিজের নামে কিনে তিনদিন নিজের কাছে রাখি। তিনদিন পর উক্ত ব্যক্তির কাছে ক্রয় মূল্য থেকে বিশ হাজার টাকা বেশি লাভে বিক্রি করে দেই। তখন এক ব্যক্তি বলল, এই ক্রয় বিক্রয় বৈধ হয়নি। কারণ এতে সুদ পাওয়া গেছে। প্রশ্ন হলো, উক্ত ব্যক্তির কথা কি সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
প্রশ্নোক্ত বর্ণনা যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে উক্ত ক্রয় বিক্রয় বৈধ হয়েছে। এবং এতে সুদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَبْد اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَحِلُّ سَلَفٌ وَبَيْعٌ وَلاَ شَرْطَانِ فِي بَيْعٍ وَلاَ رِبْحُ مَا لَمْ يُضْمَنْ وَلاَ بَيْعُ مَا لَيْسَ عِنْدَكَ
‘আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, ঋণ ও বিক্রয় একত্রে জায়েয নয় এবং দুই প্রকারের শর্তও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জুড়ে দেয়া জায়েয নয়, মুনাফা গ্রহণও জায়েয নয় যতক্ষণনা লোকসানের দায়িত্ব না নেয়া হয়, তোমার আয়ত্তে নেই এমন বস্তু বিক্রয় করাও জায়েয নয়।’ [সুনানে তিরমিযী, হাদিস: ১২৩৪]
যেহেতু আপনি পণ্য হস্তগত করে এরপর বিক্রি করেছেন, তাই আপনার ক্রয় এবং বিক্রয় উভয়টিই বৈধ হয়েছে। সুতরাং উক্ত ব্যক্তির কথা সঠিক নয়।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم