প্রশ্ন
এক ব্যক্তি আমাদের গ্রামের মসজিদের অজুখানা নির্মাণের জন্য টাকা দিয়েছে। সে ব্যক্তি সুদী লেনদেনের সাথে জড়িত। আমার প্রশ্ন হলো, এই সুদের টাকা দিয়ে মসজিদের অজুখানা নির্মাণ করা যাবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
সুদের টাকা মূলত মূল মালিক থেকে জুলুম করে নেওয়া হয়ে থাকে, তাই কুরআন সুদকে হারাম ঘোষণার পাশাপাশি জুলুমরূপেও আখ্যায়িত করেছে।
কুরআন মাজিদে এসেছে,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَإِنْ تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ
‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে অংশই অবশিষ্ট রয়ে গেছে তা ছেড়ে দাও। যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তোমরা না ছাড় তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। আর তোমরা যদি তওবা কর তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। তোমরাও কারো প্রতি জুলুম করবে না এবং তোমাদের প্রতিও জুলুম করা হবে না।’[সূরা বাকারা, আয়াত: ২৭৮-২৭৯]
একারণেই সুদের টাকা প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া আবশ্যক। যদি মূল মালিককে পৌঁছানো না যায় তাহলে গরিব ও মিসকিনদের মাঝে বিলিয়ে দিতে হবে।
সুতরাং সুদের টাকা দিয়ে মসজিদের অজুখানা নির্মাণ করা কোনোক্রমেই উচিৎ নয়।
শরহুল মাজাল্লাহ, মাদ্দাহ : ৯৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/১৭১
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم