প্রশ্ন
আমার এক বন্ধু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে এক লোকের গরু চুরি করে ফেলে। এখন সে এ কাজের জন্য অনুতপ্ত। তাই সে জানতে চাচ্ছে, এখন তার কী করণীয়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
চুরি করা কবিরা গুনাহ। ইসলামি শরিয়তে চুরির জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন-
وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُواْ أَيْدِيَهُمَا جَزَاء بِمَا كَسَبَا نَكَالاً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
‘যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তিস্বরূপ। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৩৮]
তবে যেহেতু এই শাস্তি কেবল রাষ্ট্রপ্রধান কিংবা তার প্রতিনিধি দিতে পারে তাই অন্য কেউ এই বিধান কারও উপর প্রয়োগ করতে পারবে না।
সুতরাং এই ভাইয়ের এখন কর্তব্য হলো খাটি মনে তাওবা ও ইস্তেগফার করা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ কখনো করবে না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لاَ ذَنْبَ لَهُ
‘গুনাহ থেকে তাওবাকারী এমন হয়ে যায় যেন তার কোনো গুনাহই নেই।’ [সুনানে কুবরা, হাদিস: ২১০৭১]
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো মূল মালিকের কাছে তার হক পৌঁছে দেওয়া।
তাই এখন তার কর্তব্য হলো যেভাবেই হোক চুরিকৃত গরুটি মালিকে কাছে পৌঁছে দেওয়া। আর যদি গরুটি বিদ্যমান না থাকে তাহলে তার বাজারমূল্য মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
অবশ্য মূল্য পৌঁছানোর সময় তার এটা বলা জরুরি নয় যে, আমি চুরিকৃত গরুর মূল্য ফেরত দিচ্ছি। বরং হাদিয়া বা অন্য যেকোনো মাধ্যম ব্যবহার করেও ফেরত দিতে পারবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم