প্রশ্ন
শিরক অর্থ কী? শিরক কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শিরক এর শাব্দিক অর্থ হলো শরিক করা। অংশীদারিত্ব সাব্যস্ত করা।
শিরকের পারিভাষিক অর্থ আল্লাহ তাআলার সাথে অন্য কাউকে শরীক করা। শিরক প্রধানত তিন প্রকার।
১। শিরক ফিল উলুহিয়্যাত। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কাউকে খুশী কিংবা সন্তুষ্ট করার জন্য ইবাদত বন্দেগী করা।
২। শিরক ফির রুবুবিয়্যাত। অর্থাৎ বিধানাবলীর ক্ষেত্রে, কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার ক্ষেত্রে অন্য কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা।
৩। শিরক ফিস সিফাত। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার কোনো সিফাতের ক্ষেত্রে অন্য কাউকে শরীক করা।
শিরককে আরেকভাবেও ভাগ করা হয়।
১। শিরকে আকবর। অর্থাৎ রুবুবিয়্যাত, ইলাহিয়্যাত এবং আল্লাহ তাআলার আসমা ও সিফাতের ক্ষেত্রে গায়রুল্লাহকে শরীক করা।
২। শিরকে আসগর। অর্থাৎ যে বিষয়গুলো শিরকে আকবরের দিকে নিয়ে যায় অথবা কুরআন-হাদিসে এগুলোকেও শিরক বলা হয়েছে। তবে তা শিরকে আকবরের মতো নয়।
যেমন, হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন-
عن مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ الشِّرْكُ الأَصْغَرُ . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ : وَمَا الشِّرْكُ الأَصْغَرُ؟ قَالَ :الرِّيَاء
‘আমি তোমাদের উপর সবচেয়ে বেশি ভয় করি শিরকে আসগরকে। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, শিরকে আসগর কী? তিনি বললেন, রিয়া।’ [মুসানাদে আহমাদ, হাদিস: ২৭৭৪২]
শিরকের শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন-
إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ
‘নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে শিরক করবে আল্লাহ তার উপর জান্নাত হারাম করে দিবেন। তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম। আর জালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী থাকবে না।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৭২]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم