প্রশ্ন
আমি কীভাবে বুঝব যে, আমার উপর যাকাত ফরয হয়েছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
একজন মুসলিমের উপর যাকাত ফরয হওয়ার ৩ টি শর্ত রয়েছে। এ ৩ টি শর্ত যদি একত্রে আপনার মাঝে পাওয়া যায়, তাহলে বুঝে নিবেন আপনার উপর যাকাত ফরয হয়েছে।
শর্তগুলো নিম্নরূপ:
১) স্বাধীন হওয়া।
২) নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া এবং সে সম্পদ স্থীতিশীল থাকা।
৩) এক বছর পূর্ণ হওয়া।
স্বাধীন হওয়া: ক্রীতদাসের কোনো সম্পদ নেই। কোনো সম্পদ থাকলেও তা তার মালিকের সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে। কেননা নবী (সা.) বলেন,
مَنِ ابْتَاعَ عَبْدًا فَمَالُهُ لِلَّذِي بَاعَهُ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاع
অর্থ: ‘সম্পদের অধিকারী কোনো ক্রীতদাস যদি কেউ বিক্রয় করে, তবে উক্ত সম্পদের মালিকানা বিক্রেতার থাকবে। কিন্তু যদি ক্রেতা উক্ত সম্পদের শর্তারোপ করে থাকে তবে ভিন্ন কথা।’
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া: অর্থাৎ তার কাছে এমন পরিমাণ সম্পদ থাকবে, শরিয়ত যা নিসাব হিসেবে নির্ধারণ করেছে। সম্পদের প্রকারভেদ অনুযায়ী এর পরিমাণ বিভিন্নরূপ হয়ে থাকে। অতএব কারো কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকলে বা নেসাবের কম সম্পদ থাকলে তাতে যাকাত দিতে হবে না।
এক বছর পূর্ণ হওয়া: নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার পর চন্দ্র বছর অনুসারে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কোনো মানুষ যদি মারা যায় বা তার সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যায়, তবে তার থেকে যাকাত রহিত হয়ে যাবে।
অবশ্য তিনটি জিনিস এ বিধানের ব্যতিক্রম:
১) ব্যবসার লভ্যাংশ ২) চতুষ্পদ জন্তুর বাচ্চা ৩) উশর।
ব্যবসার লভ্যাংশ ব্যবসার মূল সম্পদের সাথে যোগ করে যাকাত দিতে হবে। অনুরূপ চতুষ্পদ জন্তুর ভূমিষ্ট বাচ্চার যাকাত তার মায়ের সাথে মিলিত করে দিতে হবে। আর উশর অর্থাৎ যমীনে উৎপাদিত ফসল ঘরে উঠালেই তার যাকাত দিতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم