প্রশ্ন
কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে একজন মুসলিমের উপর কুরবানি আদায় ওয়াজিব হয়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরবানি আদায় ওয়াজিব হওয়ার কয়েক ধরনের নেসাব রয়েছে।
ক) স্বর্ণের নেসাব: ২০ মিসকাল। আধুনিক হিসেবে ৮৫ গ্রাম কিংবা ৭.৫ ভরি বা তোলা।
খ) রূপার নেসাব: ৫ উকিয়া বা ২০০ দিরহাম। আধুনিক হিসেবে ৫৯৫ গ্রাম কিংবা ৫২.৫ ভরি বা তোলা।
গ) নগদ টাকা এবং অন্যান্য সম্পদের নেসাব: উপরোক্ত স্বর্ণ কিংবা রূপার নেসাবের বাজার মূল্যের সমপরিমাণ টাকা কিংবা সম্পদ।
কুরবানি আদায়কারী এখানে ইচ্ছে করলে নেসাব হিসেবে স্বর্ণকেও গ্রহণ করতে পারে আবার রূপাকেও গ্রহণ করতে পারে। তবে গরিবের উপকার বিবেচনায় রূপার নেসাব গ্রহণ করাই অধিক উত্তম।
বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্ত্ত মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও উপর কুরবানি আদায় করা ওয়াজিব।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
‘যে ব্যক্তির কুরবানী করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ [মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৩৫১৯, আততারগীব ওয়াততারহীব ২/১৫৫]
উল্লেখ্য যে, যাকাতের ন্যায় কুরবানির নেসাব ব্যক্তির কাছে পুরো বছর থাকা জরুরি নয়, বরং কুরবানির তিন দিনের মধ্যে যে কোনো একদিন উক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই তার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে।
আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم