প্রশ্ন
রোজার মাসে বিশেষত গরমের দিনগুলোতে পিপাসায় কষ্ট হলে কিংবা প্রচণ্ড ক্ষুধা পেলে কি রোজা ভাঙ্গা যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
না, ক্ষুধা কিংবা পিপাসার কষ্টে রোজা ভঙ্গ করা যাবে না। বরং এ ধরনের কষ্ট লাঘব করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করবে।
যেমন পিপাসার কষ্ট কমানোর জন্য বারবার গোসল করবে বা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কুলি করবে। আর ক্ষুধার কষ্ট থেকে বেঁচে থাকার জন্য দিনের বেলায় পরিশ্রমের কাজ করা থেকে বিরত থাকবে অথবা ঘুমিয়ে সময় পার করবে।
এরপরও যদি ক্ষুধা ও পিপাসা না কমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে কষ্ট সহ্য করতে থাকবে। কষ্ট সহ্য করার এক পর্যায় যদি মৃত্যুর আশংকা কিংবা শারীরিক বড় কোনো ক্ষতি হওয়ার আশংকা করে তখন রোজা ভঙ্গ করবে।
ইবনু কুদামা (রহ.) বলেন:
“সঠিক মতানুযায়ী কেউ যদি তীব্র পিপাসা ও তীব্র ক্ষুধায় মৃত্যুর আশংকা করেন তাহলে সে ব্যক্তি রোযা ভেঙ্গে ফেলতে পারেন।”
শাইখ বিন উছাইমীন (রহ.) বলেন:
“যদি কেউ পিপাসার ভয় করে তাহলে রোজা ভঙ্গ করতে পারবে।” কিন্তু এখানে নিছক পিপাসাটা উদ্দেশ্য নয়। বরং যে পিপাসার কারণে মৃত্যুর আশংকা হয় কিংবা শারীরিক ক্ষতির আশংকা হয়। [তালীকাত ইবনু উছাইমীন আলাল ক্বাফী ৩/১২৪]
ইমাম নববী (রহ.) বলেন:
“যে ব্যক্তি ক্ষুধা ও পিপাসার শিকার হয়ে মৃত্যুর আশংকা করছে তার উপর রোযা ভেঙ্গে ফেলা অনিবার্য। এমনকি সে যদি সুস্থ-সবল ও গৃহবাসী (মুকীম) মানুষ হয়তদুপরি। [আল-মাজমু ৬/২৫৮]
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
” তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিও না।” [সূরা বাকারা২:১৯৫]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم