প্রশ্ন
এ বছর আমি এক মসজিদের ইমাম হয়েছি। রমজানেরে শেষ দশকে তারাবি শেষ করার পর বেতেরের নামাজ পড়িয়ে ফেলি। নামাজ শেষে মুসল্লীরা বলতে থাকে, কদরের নামাজ কেন পড়ালেন না? আগের ইমাম সাহেব তো রমজানের শেষ দশকে তারাবি ও বেতেরের মাঝে দুই রাকাত কদরের নামাজ পড়াতেন। জানতে চাচ্ছি, কদরের নামাজ নামে কোনো আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রমজানে বেতেরের নামাজ জামাতের সাথে পড়া উত্তম। তারাবির পর ইমাম সাহেব জামাতের সাথে বেতেরের নামাজ পড়িয়ে দিবেন। হাদিস শরিফে এসেছে,
عن عليٍّ – رضي الله عنه – قال: دَعا القُرّاءَ في رَمَضانَ، فأَمَرَ مِنهُم رجلًا يُصَلِّى بالناسِ عِشرينَ رَكعَةً. قال: وكانَ عَلِىٌّ – رضي الله عنه – يوتِرُ بهِم
‘আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রমজানে কারীদেরকে ডেকে লোকদের নিয়ে বিশ রাকাত তারাবি পড়ার নির্দেশ দিতেন। বর্ণনাকারী বলেন, আলী (রা.) তারাবি শেষে তাদের নিয়ে বেতেরের নামাজ আদায় করতেন।’ [সুনানে কুবরা, হাদিস: ৪৬৮২]
তকে শেষ দশকে কদরের নামাজ নামে কোনো সাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমাণিত নেই। কাজেই এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা বাঞ্ছনীয় নয়।
তবে বেতেরের পর যত ইচ্ছা নফল পড়া যাবে। শরিয়তের দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা নেই।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم