প্রশ্ন
আমার এক বন্ধুর স্ত্রী মহিলা মাদরাসার শিক্ষিকা। সে তার পুরুষ সহকর্মীদের সাথে পর্দার আড়াল থেকে মাঝে মাঝে রসিকতা করে থাকে। প্রশ্ন হল, একারণে কি আমার বন্ধু দাইয়ুস হিসেবে গণ্য হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
নারীদের কণ্ঠও সতরের অন্তর্ভুক্ত। তাই প্রয়োজন ছাড়া কোনো নারীর জন্য পরপুরুষের সাথে কথা বলার অনুমতি শরিয়তের নেই। প্রয়োজনের সময় পরপুরুষের সাথে কথা বলার অনুমতি থাকলেও নারীদেরকে কর্কশ ভাষায় কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেন ফেতনার আশংকা না থাকে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا
‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে পর পুরুষের সঙ্গে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা সঙ্গত কথা বলবে।’ [সূরা আহযাব, আয়াত: ৩২]
সুতরাং আপনার বন্ধুর স্ত্রীর জন্য তার পুরুষ সহকর্মীদের রসিকতা করা কোনোক্রমেই বৈধ হচ্ছে না। তবে এ কারণে আপনার বন্ধু দাইয়ুস হিসেবে গণ্য হবে না। কারণ, দাইয়ুস বলা হয় এমন ব্যক্তিকে যে তার স্ত্রীর কাছে পরপুরুষকে আসা যাওয়া করতে দেয় বা তার স্ত্রীকে বেপর্দা চলাফেরা করতে বা গুনাহের কাজ করতে বাধা দেয় না। পর্দার আড়াল থেকে রসিকতা করা সরাসরি এ পর্যায়ের না হলেও তা দাইয়ুস হওয়ার দিকে নিয়ে যায়। তাই এটিও অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ। কাজেই আপনার বন্ধুর করণীয় হল, তার স্ত্রীকে এ জাতীয় গুনাহের কাজ থেকে বিরত রাখা।
আল বাহরুর রায়েক ৫/৪৮
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم