প্রশ্ন
কুরআন বিশ্বমানবতার মুক্তির জন্য এসেছে। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ
‘এই কিতাব আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি যাতে তুমি মানব জাতিকে বের করে আনতে পার অন্ধকার হতে আলোর দিকে।’ [সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ১]
কুরআন তেলাওয়াত ছাড়া কোনো আমলের ক্ষেত্রে কিন্তু বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলা হয়নি। তাহলে এর অর্থ কি এই নয় যে, কুরআন বুঝতে এবং এর উপর আমল করতে গেলে শয়তান অসন্তুষ্ট হয়? যদি তাই হয়, তাহলে কুরআন বুঝার কাজ যদি চালু না থাকে, এ ব্যাপারে আলেমদের কোনো মিশন না থাকে তাহলে কি পরোক্ষভাবে শয়তানকে খুশি করা হচ্ছে না?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآنَ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
‘সুতরাং যখন তুমি কুরআন পড়বে তখন আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান হতে পানাহ চাও।’ [সূরা নাহল, আয়াত: ৯৮]
এখানে বিতাড়িত শয়তান, মানব ও জ্বিন শয়তান এবং কুরআন পাঠের সকল প্রতিবন্ধকতা থেকে পানাহ চাইতে বলা হয়েছে।
একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, কুরআন মানলে আমার জীবন সাফল্যমণ্ডিত হবে। যেক্ষেত্রে কুরআনের বিধান প্রয়োগ করা হবে, তা মহিমান্বিত হবে। এটিই কুরআনের বৈশিষ্ট্য। এ কারণেই কুরআনের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে লাইলাতুল কদর মহিমান্বিত হয়েছে। রমজান মাস কুরআনের সাথে সম্পর্ক রাখার কারণে সম্মানিত হয়েছে। কাজেই আমার ব্যক্তি জীবনে যদি কুরআনের স্পর্শ লাগে তাহলে তা মহিমান্বিত হবে। আমার সংসার, সমাজ ও রাষ্ট্র জীবনে কুরআন আসলে তা মূল্যবান হয়ে যাবে। এ কারণে শয়তান আমাদেরকে প্রতিনিয়ত কুরআন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে। দূরে থাকার জন্য বিভিন্ন উপায় উপকরণ তৈরি করে দিচ্ছে। আমরা যদি কুরআনকে আমলে পরিণত না করি, তাহলে শয়তান খুশি হয়। তাই আল্লাহ তাআলা মানুষকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন মানুষ কুরআনকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে বাস্তবায়নের সময় বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চায়।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم