প্রশ্ন
কোন কোন আলেমকে শুনি, কুরআন নিয়ে গবেষণা করতে নিষেধ করেন। এর কারণ কী? কুরআন নিয়ে গবেষণা করা নিষিদ্ধ হবে কেন? এতে কি তাদের কোন ক্ষতি হয়?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেছেন,
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَى قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا
‘তবে কি তারা কুরআন নিয়ে গভীর চিন্তা- ভাবনা করে না? নাকি তাদের অন্তরসমূহে তালা রয়েছে?’ [সূরা মুহাম্মাদ. আয়াত: ২৪]
আসলে আমরা কুরআন নিয়ে গবেষণা করি না। কুরআনের উপর আমল করি না। যার ফলে বর্তমান সমাজের এত অবক্ষয়। যদি আরো বেশি করে কুরআন নিয়ে গবেষণা করা যেত, কুরআনের উপর আমল করা যেত, তাহলে সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সহজ হত। আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেছেন,
وَلَقَدْ ضَرَبْنَا لِلنَّاسِ فِي هَٰذَا الْقُرْآنِ مِن كُلِّ مَثَلٍ لَّعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
‘আর নিশ্চয় আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য প্রত্যেক প্রকার দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে।’ [সূরা যুমার, আয়াত: ২৭]
কাজেই আমাদেরকে কুরআনের গবেষণা বেশি করে করতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের জীবন ঘনিষ্ঠ সকল সমস্যার সমাধান খুঁজে পাব। সুতরাং আমাদের করণীয় হল, বেশি বেশি করে কুরআন গবেষণা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা।
তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে। যে কোন বিষয়ে গবেষণা করার অধিকার রাখে চূড়ান্ত পর্যায়ের শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ। তাই কুরআন নিয়েও গবেষণা করার অধিকার তারাই রাখেন যারা এ ব্যাপরে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছেন। পঞ্চম শ্রেণীর এক জন ছাত্র যেমন পিএইচডি করতে গেলে সেটা হাস্যকর শোনাবে তদ্রূপ যার কুরআন সম্পর্কে গভীর জ্ঞান নেই তিনি কুরআন নিয়ে গবেষণা করতে গেলেও হাস্যকর শোনাবে।
তাই আলেমরা সাধারণ শিক্ষিত মানুষদেরকে কুরআন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর যথাযথ জ্ঞান অর্জন করা ব্যতীত কুরআন গবেষণার নামে কুরআন বিকৃতি করতে নিষেধ করেন। এতে তাদের কোন লাভ-ক্ষতি নেই। বরং দ্বীনকে বিকৃতি থেকে রক্ষা করার জন্যই তারা এমন করে থাকেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم